জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প: ‘প্রয়োজন আধুনিক প্রশিক্ষণ’

বাংলাদেশের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিকদের আরও আধুনিক প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2015, 03:59 PM
Updated : 10 Oct 2015, 03:59 PM

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তারা এ কথা বলেন।

সভায় ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) এবং নরওয়েজিয়ান এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন (নোরাড) এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ক্যাপ্টেন রাফায়েল বামলার বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল শিপ রিসাইক্লিং খাতে বহির্বিশ্বের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানকে গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দানের জন্যই আইএমও এবং নোরাড এর এই কনসোর্টিয়াম গঠিত হয়েছে।

“এ খাতে নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ও উন্নয়ন এ তিন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া সব সরকারি নীতি মেনে চলতে হবে।”

জার্মানির বিশেষজ্ঞ হ্যানিং গ্রামান বলেন, এ খাতের উন্নয়নতে যথাযথ প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিএসবিকে এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. গোকদেনিজ নেসার এবং ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ধরমেশ জানি।

আইএমও এবং নোরাডের অর্থায়নে ‘সেফ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন বাংলাদেশ (ফেস-১)’ নামের একটি প্রকল্প চলমান আছে। এই প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাই মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, শিপ রিসাইক্লিং সেক্টরের উন্নয়নের জন্য সরকার বদ্ধ পরিকর। ইয়ার্ড মালিকদের যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত জনবল ব্যবহার করতে হবে এবং কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিএসবিএ এর প্রেসিডেন্ট এম এ তাহের বলেন, প্রশিক্ষণের জন্য বিএসবিএ’র উদ্যেগে ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। অবিলম্বে প্রশিক্ষণের জন্য একটি ওয়েবসাইটও খোলা হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মকবুল হোসেন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমানডেন্ট সাজিদ হোসাইল, বুয়েটের অধ্যাপক ড. এম এম গোলাম জাকারিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নূর নবী ও বিএসবিএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট আমজাদ হোসেন চৌধুরী।

সভায় জানানো হয় দেশি-বিদেশি ১২ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল বিভিন্ন শিপ ইয়ার্ড পরিদর্শনের জন্য শনিবার থেকে চার দিন চট্টগ্রামে থাকবেন।