বিদেশি হত্যায় রপ্তানি, বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কা

একই কায়দায় পর পর দুই বিদেশি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডে দেশের রপ্তানি ও বিদেশি বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2015, 12:56 PM
Updated : 6 Oct 2015, 12:56 PM

মঙ্গলবার ইতালির নাগরিক চেজারে তাভেল্লা ও জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ও দ্রুত বিচার চেয়ে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডিসিসিআই।

“এ ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড কোনওভাবেই কাম্য নয়।”, বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে ।

এই স্থানে হামলার শিকার হন কুনিও হোশি

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিসিসিআই বিশ্বাস করে, সরকার অতি দ্রুত দুটি হত্যাকাণ্ডের যথাযথ আইনি তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে।

পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের হত্যাকাণ্ড যাতে দেশের বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ও রপ্তানিপ্রবাহে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য বিদেশি ক্রেতাদের পাশাপাশি বিদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে অবস্থান ও চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে ডিসিসিআই।

“সরকারের কার্যকর পদক্ষেপে বিদেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে চলমান উর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছু দৃষ্কুতিকারীর দ্বারা সংঘটত এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে, যা কোনওভাবেই কাম্য নয়।”

এর মধ্যেই দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনার দেশের পর্যটন শিল্পে পড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক চেজারে তাভেল্লা গুলিতে নিহত হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় রংপুরে একই কায়দায় খুন করা হয় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে।

দুই খুনের দায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক উগ্রপন্থি দল আইএস স্বীকার করেছে বলে জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সাইট ইন্টিলিজেন্স গ্রুপ’ দাবি করেছে।

তবে বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই- সরকারের পক্ষ থেকে এমন দাবি করে বিদেশিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।