শুক্রবার নগরীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি বিক্রি হচ্ছে ঈদের আগের মতোই চড়া দামে। অগাস্টের শুরুতে টানা বৃষ্টির ধকল কাটিয়ে বাজারে সবজি সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও দামে তার প্রভাব পড়ছে না।
অবশ্য পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় পাইকারিতে দাম কম; খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন।
নগরীর পাইকারি কাঁচাপণ্যের বৃহত্তম কাঁচাবাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোহাম্মদিয়া আড়তের স্বত্বাধিকারী ওমর আজম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসায় পাইকারিতে আমরা কম দামে সবজি বিক্রি করছি।”
পাইকারিতে প্রতিকেজি বেগুন ২৫ টাকা, শসা ২০ টাকা, পটল ২০, বরবটি ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ২৫ টাকা, চিচিংগা ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা ও টমেটো ৮৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ওমর আজম।
তবে রিয়াজ উদ্দিন বাজারেই খুচরায় বেগুন বিক্রি হচ্ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, শসা ৪০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়।
এছাড়া খুচরায় পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, চিচিংগা ৫০ টাকায়, টমেটো ১২০ টাকায় ও কাঁচা মরিচ ১২৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বেড়েছে আলুর দামও। ঈদের আগে খুচরায় প্রতিকেজি আলু ২২ টাকায় বিক্রি হলেও সে আলু বিক্রি হচ্ছে এখন ২৮ থেকে ৩০ টাকায়।
দামের ক্ষেত্রে আরো এক ধাপ এগিয়ে আছে নগরীতে উচ্চবিত্তের বাজার বলে পরিচিত কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার।
সেখানে প্রতিটি সবজি রিয়াজউদ্দিন বাজারের চেয়ে দশ থেকে বিশ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। কাজীর দেউড়ি বাজারে বরবটি ৯০ টাকা, ঢেঁড়স ও বেগুন ৭০ টাকা, টমেটো ১৪০ ও পটল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
সবজিতে চড়া দাম থাকলেও মাছ ও মুরগির দামে স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতারা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি রিয়াজউদ্দিন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায় ও কাজীর দেউড়িতে ১৩০ টাকায়।
এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ রিয়াজউদ্দিন বাজারে এক হাজার টাকায় বিক্রি হলেও কাজীর দেউড়িতে সে মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
এছাড়াও লইট্টা মাছ ৮০ থেকে ১২০, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৪০, সমুদ্রের চিংড়ি টাইগার ২৬০ থেকে ৩০০ টাকায়, গলদা চিংড়ি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় শুক্রবার বিক্রি হয়েছে রিয়াজউদ্দিন ও কাজীর দেউড়ি বাজারে।