মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তারানা হালিম বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারে অপারেটরদের প্রবেশের সুযোগ দিতে বিটিআরসিকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এ সুযোগ পাওয়ার পর অপারেটররা যাচাই করে অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করতে পারবে।”
জরিমানার বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরদের চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
“যে চিঠি দেব সেখানে জানিয়ে দেওয়া হবে নির্ধারিত সময়ের পরে অর্থ্যাৎ নির্বাচন কমিশনের সাথে তারা চুক্তি করার পর এবং এনআইডি সার্ভারে প্রবেশের সুযোগ পাওয়ার পরও যদি বাজারে অবৈধ সিম পাই, সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী তাদের প্রতিটি সিমের জন্য ৫০ ডলার করে জরিমানার বিধান রয়েছে, তা প্রযোজ্য হবে।”
গত ২০১২ সালের ১১ অক্টোবর থেকে মোবাইল ফোন অপারেটররা প্রি-একটিভ সিম (আগে থেকেই চালু) বিক্রি করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
এসব সিমপ্রতি ৫০ ডলার জরিমানার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। তবে তিন বছরেও তা কার্যকর হয়নি।
বেশিরভাগ অপারেটর সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করছে না এবং অনেকক্ষেত্রে অনিবন্ধিত সিম বিক্রির দায় অপারেটরা সিম বিক্রির রিটেইলাদের উপর চাপিয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
তারানা হালিম জানান, অবৈধ সিম বন্ধে যে অভিযান চলছে তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটর রয়েছে। বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই নাগাদ বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৮৭ লাখ।