কারসাজির শাস্তিতে পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরার আশা 

কারসাজির জন্য দুই দশক পরেও দুজনের শাস্তি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।

ফারহান ফেরদৌসবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2015, 01:55 PM
Updated : 31 August 2015, 02:53 PM

১৯৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির প্রথম রায়ে সোমবার চিক টেক্সটাইলের দুই কর্মকর্তাকে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আইনজীবী মাসুদ রানা খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘৯৬ সালের শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছিল, তার মধ্যে এই প্রথম কোনোটির রায় হল।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফিন্যান্সের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুসা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই মামলার রায় পুঁজিবাজারের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফল নিয়ে আসবে।”

“কারসাজি যারা করেন, তারা সাবধান হয়ে যাবেন ,” বলেন এই পুঁজিবাজার বিশ্লেষক।

কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়ানোর দায়ে ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মাকসুদুর রসুল ও পরিচালক ইফতেখার মোহাম্মদকে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সঙ্গে ৩০ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মুনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রায় দীর্ঘমেয়াদে বাজারে আস্থা ফেরাতে সহায়তা করবে।

“মানুষ আর চিটেড ফিল করবে না, মানুষ মনে করবে কেউ কারসাজি করলে তার বিচার হবে।”

১৯৯৬ সালের কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ১৫টি প্রতিষ্ঠান ও ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

এর মধ্যে চিক টেক্সটাইলের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয় ১৯৯৭ সালের ২ এপ্রিল। চলতি বছর জুনে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল চালু হলে মামলাটি সেখানে যায়।

বস্ত্র খাতের এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৫ সালে ১২ কোটি ৫৪ লাখ মূলধন নিয়ে বাজার আসে। ছিয়ানব্বইয়ের কারসাজির সময় চিক টেক্সটাইলের সাত টাকা অভিহিতমূল্যের শেয়ার ৪৬ টাকায় উঠিয়েছিল।

উচ্চ আদালতের জামিনে থাকা দুই আসামি ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে হাজির না হওয়ায় গত ২৮ জুন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সোমবার বিচারক হুমায়ুন কবির রায় দেন। রায়ের সময় আসামিদের কেউ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।