পেঁয়াজের বাজার ঠিক রাখতে আরেক পদক্ষেপ

পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে এর আমদানি অর্থায়নে সুদহার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2015, 01:25 PM
Updated : 27 August 2015, 03:19 PM

একইসঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির আমদানিতে ঋণপত্র খোলার মার্জিনের হার (এলসি মার্জিন) ন্যূনতম পর্যায়ে রাখারও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে বলে বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে।

‘পেঁয়াজ আমদানি অর্থায়নে সুদ হার প্রসঙ্গে’ শিরোনামের সার্কুলারে বলা হয়, “সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও পেঁয়াজের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

“এ প্রেক্ষাপটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত ও পেঁয়াজের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে পেঁয়াজ আমদানি অর্থায়নের সুদ হার সর্বোচ্চ ১১% নির্ধারণ করা হল।”

এছাড়া পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে তিন দিনে পেঁয়াজের দর এক তৃতীয়াংশের বেশি বেড়ে যাওয়ার পর এর বাজার ঠিক রাখতে টিসিবির মাধ্যমে আমদানিসহ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

বাজারে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি বন্দর থেকে পেঁয়াজের চালান দ্রুত ছাড় করানোরও সিদ্ধান্ত হয়।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের-টিসিবির তথ্য অনুযায়ী,  রাজধানীর বাজারগুলোতে বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।

এক সপ্তাহ আগে আমদানি করা পেঁয়াজের দর ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।