সম্প্রতি বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোর প্রধান নির্বাহীদের (সিইও) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. আহসান উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিদেশি মুদ্রায় আয়-ব্যয়, দেশে আনার মত অর্থের পরিমান ও এর মধ্যে কত অংশ দেশে আনা হয়েছে- এসব তথ্য জানাতে হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করবে।”
রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, নভোএয়ার, ইউএস বাংলা, বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্স ও বন্ধ জিএমজি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা ওই বৈঠকে অংশ নেন।
এসব কোম্পানির মধ্যে ইউনাইটেড ও রিজেন্ট বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহন করছে। বিসমিল্লাহ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক রুটে কেবল পণ্য পরিবহন করে। অন্য কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রানীতি আইনের ২০ ধারার ৩ উপধারা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী ও পণ্য বহনকারী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে বেসরকারি বিমান কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাড়ছে। তাদের বিদেশি মুদ্রা আয়ের হিসাবে স্বচ্ছতা না আনলে অর্থপাচার বা অবৈধ লেনদেনের ঝুঁকি তৈরি হয়। এ কারণেই স্বচ্ছতা আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, বিমান পরিবহন সংস্থাগুলো বিদেশি নাগরিকদের কাছে দেশি মুদ্রায় টিকেট বিক্রি করতে পারবে না। এছাড়া পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে এফওবি এলসি হলে বিদেশি মুদ্রায় ভাড়া নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ উদ্যোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিপণন বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, “যে কোনো রেগুলেটরি অথরিটি ডাটা চাইতে পারে। দেশে যখন ব্যবসা করছি, তখন এ বিষয়ে দ্বিমত করার কিছু নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে আমরা তথ্য দেব।”