প্রাণ ফিরেছে ঢাকার কাঁচাবাজারে

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় ঝিমিয়ে পড়া কাঁচাবাজারগুলো ফের সরগরম হয়ে উঠেছে। তবে তুলনামূলক দাম বেড়েছে বিভিন্ন সবজির।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 July 2015, 12:41 PM
Updated : 24 July 2015, 01:40 PM

বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় দাম খানিকটা বেড়েছে।  

শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢেঁড়স, ঝিঙে, টমোটোসহ কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। তবে কাঁচা মরিচ, আদার দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কম।

ফকিরেরপুল, গোপীবাগ, মুগদা, মানিকনগর, মিরপুর, মোহাম্মদপুরের কাঁচাবাজারে লোক সমাগম ছিল বেশ। এসব বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ঈদের আগে গত সপ্তাহেও ঢেঁড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুগদা বাজারের বিক্রেতা টুটুল সরদার।

এছাড়া ঝিংগা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর টমোটোর দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।

এছাড়া বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কচুরলতি, চিচিংগা, ধুন্দল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শাকের মধ্যে পুঁইশাক ও লালশাক প্রতি আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পাটশাক ৮ থেকে ১০ টাকা আাঁটি বিক্রি হচ্ছে।   

তবে কাঁচামরিচের দাম মান ভেদে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বর্তমানে কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও মরিচের দাম ছিল ১০০ থেকে ১৪০ টাকা।
মসলার জাতীয় পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা, দেশিরসুন ৬০ টাকা, আমমদানি করা রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আর আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। ঈদের আগে আদার কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত ছিল।
ভোজ্যতেলের মধ্যে সুপার পামঅয়েলের দাম লিটারে ২ টাকা বেড়ে ৬৭ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমে হয়েছে ৭৫ টাকা।
চাহিদার কারণে ঈদের আগে দাম বাড়লেও এ সপ্তাহে গরু, খাসি ও মুরগির মাংসের দাম তুলনামূলক কমেছে। কেজিপ্রতি ৪২০ পর্যন্ত বিক্রি হওয়া গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে শুক্রবার।
খাসির মাংস ৬০০ থেকে নেমে ৫৫০ টাকা হয়েছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ থেকে কমে ১৫৫ টাকা হাঁকছেন বিক্রেতারা।
ঈদের আগের দিন থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাঁচাবাজারগুলো অনেকটা ক্রেতাশূন্য ছিল। ছুটি শেষে লোকজন ঢাকায় ফিরে আসায় আবার চাহিদা বেড়েছে।

কারওয়ান বাজার কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরবরাহ কম থাকায় কিছু সবজির দাম বেড়েছে। আবার কিছু সবজির ক্ষেত বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ায় ওইসব সবজির সরবরাহ বেশি। যেরকম মানিকগঞ্জের চর ডুবে যাওয়ায় পটল, ঢেঁড়সের সরবরাহ কমেছে।”

টানা বৃষ্টি বন্ধ না হলে আগামী সপ্তাহ নাগাদ সবজির দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আড়ৎদাররা।