জনতাই আমার আর্মি: আইভী

সেনা মোতায়েন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ভোট কারচুপির যে কোনো চেষ্টা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Oct 2011, 10:21 AM
Updated : 28 Oct 2011, 10:21 AM
নারায়ণগঞ্জ, অক্টোবর ২৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সেনা মোতায়েন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেও ভোট কারচুপির যে কোনো চেষ্টা ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনকে সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান চান না বলেই সেনা মোতায়েন হয়নি বলে দাবি করেছেন আইভী। চেয়েও সেনাবাহিনী কেন পাওয়া যায়নি, সে বিষয়ের ব্যাখ্যা চাইতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মেয়র প্রার্থী আইভী নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, "কারচুপি ও ভোট ডাকাতি হলে এর দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।"
নারায়ণগঞ্জে চার কোম্পানি সেনা মোতায়েনের কথা নির্বাচন কমিশন বলে এলেও নির্ধারিত সময় শুক্রবার সকাল ৮টায় কোনো সেনাসদস্য নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায়নি। এতে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করেন আইভী।
নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনে ইসি চেয়েও সেনাবাহিনী পায়নি- সন্ধ্যায় সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা এ কথা জানানোর পর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরে নিজের বাড়িতে আইভী সাংবাদিকদের বলেন, "নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, ভোট কারচুপি এবং অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এর দায়ভার নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।"
শামীম ওসমান সেনাবাহিনীকে ভয় পান- মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা আইভী বলেন, "সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকলে তিনি (শামীম) নির্বাচনে কারচুপি করতে পারবেন না। আমার বিজয় নিশ্চিত জেনে তিনি এমনটা করেছেন।"
প্রশাসনকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, "নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে বিজয়ী করতে রাষ্ট্রীয় সহায়তা নিয়ে কেউ যদি অপচেষ্টা চালায়, তবে জনগণই তার জবাব দেবে।
"সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর করে আমি নির্বাচন করছি না। বিএনপির প্রার্থী সেনা মোতায়েনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করলেও আরেক প্রার্থী সেনা মোতায়েন না হওয়ায় বিজয় মিছিল করেছে। এতে লাভ নেই, জনতাই হবে আমার আর্মি," বলেন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আইভী।
সেনা সদস্যরা মাঠে থাকলে জনগণ সাহস পেত বলে মনে করেন তিনি।
আইভী বলেন, "নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ সুষ্ঠু-স্বাভাবিক নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত অন্যান্য সংস্থাকে একটিভ করতে হবে। সেনাবাহিনী না থাকলেও গণজোয়ারের বিরুদ্ধে যেন রায় না যায়, সেজন্য তাদের সতর্ক থাকতে হবে।"
সেনাবাহিনী না পাওয়ার বিষয়ে আইভী বলেন, "প্রধান নির্বাচন কমিশনার আর্মি মোতায়েনে কেন ব্যর্থ হলেন, এ বিষয়ে তার সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করা দরকার।"
নির্বাচনে সেনাবাহিনী না থাকলেও আরো ১০০ র‌্যাব সদস্য থাকবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।
আইভী অভিযোগ করেন, র‌্যাব সদস্যরা তার সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসআই/এমআই/২২১৭ ঘ.