গত সোমবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১৭ হাজার ৬৪৭ জন শিক্ষার্থীকে মনোনীত করে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি।
এর মাধ্যমে নতুন করে ১০ হাজার ৭২৬ জন এবং মাইগ্রেশনের মাধ্যমে ছয় হাজার ৬৪৭ জনসহ মোট ১৭ হাজার ৬৪৭ জনকে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় মেধা তালিকায় মনোনীত শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গল ও বুধবার ভর্তির তারিখ রাখা হয়।
মঙ্গলবার সকালে ভিকারুননিসায় মাইগ্রেশন করা শিক্ষার্থীরা সিদ্ধেশ্বরীতে কলেজের মূল ক্যাম্পাসে ভর্তি হতে গেলে কলেজের ফটক বন্ধ করে রাখা হয়। এ সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে থাকেন।
এক পর্যায়ে তারা কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন। প্রায় ১৫ মিনিটের অবরোধ শেষে পুলিশ এসে তাদের সেখান থেকে উঠিয়ে দেয়। তখনও কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করেননি বলে অভিযোগ করেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
“মাইগ্রেশনের মাধ্যমে মোট ৪৩ জন এ কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সকাল থেকে এখানে অবস্থান করার পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন কথা বলছে না।”
“দুপুরের পর পুলিশের কয়েকজন কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমাদের জানায়, এখানে কোনো সিট খালি নেই।”
পরে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে বাইরে অবস্থান করা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভেতরে ডেকে নেওয়া হয়।
সেই সভায় উপস্থিত থাকা খুরশীদ আলম জানান, সবার সঙ্গে কথা বলার পরে কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে রাজি হন।
“বুধবার সকাল ১০টায় আমাদের ভর্তির প্রস্তুতি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে,” বলেন তিনি।
এর আগে গত ২৯ জুন সুফিয়া খাতুন বলেন, ‘যোগ্যতা’ থাকা সত্ত্বেও তার স্কুল থেকে পাস করা বেশ কয়েকজন ছাত্রীর নাম বোর্ডের মেধা তালিকায় আসেনি।
“বোর্ডের মেধা তালিকায় তাদের নাম আসুক আর নাই আসুক, আমরা তাদের (এই স্কুল থেকে পাস করা ছাত্রী) ভর্তি করাব। কারণ ১০ বছর ধরে তারা এখানে পড়াশোনা করছে।”
মেধা তালিকার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করালে মোট আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে কি না- এই প্রশ্নে সুফিয়া বলেন, “দুই হাজার আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় ভিকারুননিসা। প্রয়োজনে আমরা বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করাব।”