ঝুঁকিপূর্ণ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে চলছে কার্যক্রম

কক্সবাজারে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের হেলে পড়া ভবনের সংস্কার কাজ ছাড়াই ঝুঁকির মধ্যে মাছ ওঠা-নামার কাজ চলছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিশংকর বড়ুয়া, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2015, 03:54 PM
Updated : 7 July 2015, 03:54 PM

বাঁকখালী নদীর তীরের এই ভবন সোমবার রাতে হেলে পড়ার পর প্রশাসন আশপাশে লোকজনের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা এবং মাছ ধরার ট্রলার সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে প্রশাসনের এ আদেশ মানার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার সকালে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ভবনের দক্ষিণ দিকের অংশে প্রতিদিনকার মতো ট্রলার থেকে মাছ অবতরণ ও কেনা-বেচা চলছে।

আর ভবনের উত্তরে হেলে পড়া অংশে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম ভবনের দক্ষিণ অংশকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেন।

“ভবনটির উত্তর দিকের অংশ হেলে পড়ে ধসের ঝুঁকিতে থাকায় ওই অংশে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু ভবনের দক্ষিণাংশ স্বাভাবিক থাকায় মাছ অবতরণ ও কেনা-বেচার কাজ চলছে,” বলেন তিনি।

কিন্তু নতুন করে ফাটলের পর দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ থাকা ভবনে সংস্কার ছাড়াই কাজ করতে গিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীরাও ভয়ের মধ্যে রয়েছেন।

যে কোনো সময় ভবনটি ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন ফিশারিঘাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সদস্য মো. হারুনসহ স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

২০১২ সালে বাঁকখালী নদীর স্রোতের তোড়ে ভবনটির উত্তর ও দক্ষিণ দিকের দুটি অংশেই ফাটল দেখা দেয়। সেই থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলতে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

সর্বশেষ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভবনটির উত্তর অংশ হেলে পড়ার সময় উত্তর-দক্ষিণ দুই অংশেই নিচের বেশ কয়েকটি পিলার সরে যায়। ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো ভবনটিই।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, দক্ষিণ অংশে ফাটল দেখা দিলেও সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করার মতো অবস্থায় রয়েছে।

আর উত্তর দিকের অংশটি ভেঙে ফেলার জন্য মঙ্গলবার সকালে নিলাম ডেকে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) কক্সবাজারের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের এই ভবনটি নির্মাণ করে। বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষে নির্মিত এ ভবনে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে ফেরত আসা সব ধরনের ট্রলার ভিড়িয়ে মাছ খালাস করা হয়।