কাশিমপুর কারাগারে নির্যাতন তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

বেশি ইফতার দাবি করায় গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে এক বন্দিকে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2015, 01:35 PM
Updated : 7 July 2015, 01:35 PM

স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে ঘটনা তদন্ত করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেয়।  

‘কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার : মধ্যযুগীয় কায়দায় বন্দি নির্যা‌তন’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে ২ জুলাই প্রতিবেদন ছাপা হয়।

এটি যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ গত ৫ জুলাই রিট আবেদনটি করে, যার ওপর মঙ্গলবার শুনানি হয়।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

রুলে জেলখানায় নিযাতন ও অমানবিক আচরণ বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিবাদীদের কারাবিধি (জেলকোড) অনুসরণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরির্দশক (আইজি), উপ কারা-মহাপরিদর্শক, কারা তত্ত্বাবধায়ক, জেলার জান্নাতুল ফরহাদ, সুবেদার খোরশেদ ও সাবেক সুবেদার মুছতাইন হোসেন ও জমাদার লুৎফর রহমানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী আটক ব্যক্তিকে নির্যাতন বা তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা নিষিদ্ধ। ২০০৯ সালে এমন ঘটনা ঘটলে আদালতের আদেশের পর কিছুদিন নির্যাতন বন্ধ ছিল। তবে রমজানের প্রথম দিন হঠাৎ করে নির্যাতনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। এ কারণে রিটটি করা হয়।”  

সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম রোজার দিন কাশিমপুর কারাগারে ইফতারের খাবারে আরেকটু বেশি ছোলা-মুড়ি চাওয়ায় মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার হন জাভেদ প্রিন্স নামে ওই বন্দি। 

গত ৩ রমজান ঢাকায় একটি আদালতে মামলার হাজিরা দেওয়ার সময় ওই বন্দি গণমাধ্যমে নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।