মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রেজাউল করিমের দেওয়া রায়ে ওই দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জেসমিন আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে নাসিরউদ্দিনকে এবং সাতকানিয়ায় ছয় বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের দায়ে আজম খান নামে এক অটোরিকশা চালককে এই সাজা দেওয়া হয়।
নাসির চন্দনাইশ উপজেলার লালুটিয়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে। আজম সাতকানিয়া উপজেলার মধ্যম এওচিয়া ইউনিয়নের ফরিদুল আলমের ছেলে। তারা দুজনই পলাতক।
১৯৯৯ সালের ৯ এপ্রিল চন্দনাইশে বাড়ির পাশে মাঠে খেলা করার সময় নাসির এক শিশুকে ভুলিয়ে নিয়ে ১১ বছর বয়সী ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন বলে মামলায় বেলা হয়।
ওই ঘটনায় শিশুটির বড় বোন ফরিদা বেগম মামলা করলে ওই বছরের ৪ জুলাই পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয় এবং ২৭ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়।
পিপি জেসমিন আক্তার বলেন, “ঘটনার পর নাসির গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে মুক্ত হয়ে সে পালিয়ে যায়।”
অন্য ঘটনাটি ২০১২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরের। এক্ষেত্রেও সাতকানিয়ায় বাড়ির কাছে খেলার সময় ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করেন অটো রিকশাচালক আজম।
শিশুটির দাদি মামলা করলে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। পরের বছরের ৭ জুলাই আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয় আজমের বিরুদ্ধে।