মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রি-মোড় এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, “সারা বছরই রাস্তা মেরামতের কাজ করতে হবে। বছরের ৯ মাস নাকে তেল দিয়ে ঘুমাব আর তিন মাস আমরা সচেতন হব, এটা হয় না।”
এবার ঈদে মহাসড়ক জনদুর্ভোগমুক্ত হবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি কোথাও জনদুর্ভোগ হয় তবে সেখানকার ইঞ্জিনিয়ার, কন্ট্রাক্টর যে-ই দায়ী হউক না কেন, তাদের কপালে দুর্ভোগ হবে।
আগামী সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ এবং কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কাদের।
ল্যান্ড রিকুইজিশন জটিলতা, রাস্তার পাশে বসতবাড়ি, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিষয়ক নানা সমস্যার কারণে নবীনগর-বাইপাইল-উত্তরার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চার লেনে প্রশস্তকরণ সম্ভব হচ্ছে না। তাই ওই পথের ২২ কিলোমিটার এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
“এজন্য আমরা বিদেশি ফান্ডের নিশ্চয়তা পেয়েছি। ইতোমধ্যে ওই পথের ডিটেইল প্ল্যানিং, সয়েল টেস্টসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এটি হবে দেশের তৃতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে,” বলেন মন্ত্রী।
এ সময় কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, সড়ক ও জনপথের ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আফতাব উদ্দিন খান, ঢাকা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমান, গাজীপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।