সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে সংঘর্ষ

রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে শ্রমিকদের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এই সংঘর্ষের কারণে এই টার্মিনাল থেকে বাস ছাড়া এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2015, 09:38 AM
Updated : 8 July 2015, 04:54 AM

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টার্মিনাল সংলগ্ন রেল গেইটের কাছে এই সংঘর্ষ বাঁধে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ এবং আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল মালিক-শ্রমিক কমিটির মধ্যে রেশারেশি থেকে এই সংঘর্ষ হয়।

বেলা ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ঢাকা সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের ৩০০ নেতা-কর্মী চাঁদাবাজ উৎখাতের স্লোগান দিয়ে সায়েদাবাদের দিকে যাত্রা করে।

রেল গেইটে পৌঁছলে আন্তঃজেলা ও নগর বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটি তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

পরে পুলিশ গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই ইমরানুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শ্রমিক লীগের সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।”

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল (ফাইল ছবি)

ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বিএনপি-জামায়াত নিয়ন্ত্রিত পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন প্রতিদিন ৬০-৭০ লাখ টাকা চাঁদা তুলে আসছে।

“অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য আজ আমরা টার্মিনালে অবস্থান নিলে অবৈধ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় আমাদের নিরপরাধ ও নিরীহ নেতা-কর্মীদের উপর গুলি চালায়।”

মিজান বলেন, এতে তিনিসহ ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হান্নান শেখ, কর্মী বিল্লাল, ওবায়দুর হক, ইউসুফ আখতার, সাত্তার, কুদ্দুসসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এর মধ্যে বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

অন্যদিকে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল শ্রমিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিরউদ্দিন হাওলাদার বলেন, “সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সভাপতি হান্নান শেখের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালালে আমরা তাদের প্রতিহত করি। মালিক ও শ্রমিকদের বাধার মুখে তারা পিছু হটে।”

হামলায় সায়েদাবাদ শ্রমিক কমিটির রানা, মাসুম, লিটন, সালাহউদ্দিন আমির, আলমগীরসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।  

সায়েদাবাদ থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট অভিমুখে বাস ছেড়ে যায়। সংঘর্ষের কারণে বাস ছাড়া বন্ধ হয়ে গেলে দুর্ভোগে পড়েন এসব রুটের বাসযাত্রীরা।