ঢাবি: দ্বিতীয়বার ভর্তি প্রশ্নে রায় বুধবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে কি না তা জানা যাবে বুধবার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 July 2015, 09:34 AM
Updated : 7 July 2015, 09:34 AM

এ সংক্রান্ত রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রায়ের এ দিন ঠিক করে দেয়।

একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে গত ১৬ মার্চ হাই কোর্ট এই রুল দেয়। দ্বিতীয় বার ভর্তির সুযোগ বাতিল কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

সেইসঙ্গে ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের মত ভর্তির সুযোগ রেখে নতুন করে সিন্ধান্ত কেন দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়।    

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, পরীক্ষা কমিটির সম্পাদক, সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক-২), ইউজিসি চেয়ারম্যান ও শিক্ষা সচিবকে এর জবাব দিতে বলা হয়।

সোমবার ও মঙ্গলবার এ রুলের ওপর আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন।

মেসবাহ উদ্দিন পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার আদালত রায়ের দিন রেখেছেন।”

এইচএসসি উত্তীর্ণরা এতোদিন টানা দুইবার ভর্তি পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেলেও গতবছর তা সীমিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ঠেকাতেই কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক গত ১৪ অক্টোবর ওই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শুধু ওই বছর এইচএসসিতে উত্তীর্ণরাই অংশ নিতে পারবে; পুরনোরা নয়।

সেই হিসাবে চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষা থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা।

ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সে সময় টানা কয়েক দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও অনশনের মতো কর্মসূচি পালন করেন।  এরপর হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন দ্বিতীয়বার ভর্তিচ্ছু ২৬ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

দেশে উচ্চ শিক্ষার সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয় হাজার ৫৮২ আসনের বিপরীতে গতবছর পরীক্ষা দেন তিন লাখ এক হাজার ১৩৮ জন পরীক্ষার্থী।

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি নিয়ে বেকায়দায় থাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যুক্তি, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিলে একদিকে প্রথমবার পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়, অন্যদিকে পুরাতন শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারগুলোর সহযোগিতা নিয়ে ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে জালিয়াতি করার চেষ্টা করে।