মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার সীমান্তবর্তী বিষ্ণপুর এলাকা থেকে বিজিবি তাকে আটক করে।
বিজিবি ১২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নজরুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপারের অনুরোধে আসামি হিরণ মিয়াকে গ্রেপ্তারে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) সহায়তা করেছে স্থানীয় বিজিবি।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই আসামি (হিরণ) গ্রেপ্তার এড়াতে পাশের দেশে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষ্ণুপুরে বাংলাদেশ সীমান্তের শেষ একশ’ গজ এলাকার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।”
এর আগে এই হত্যা মামলায় খোকন মিয়া, হারুন অর রশিদ ও আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা সবাই নিহতদের প্রতিবেশী।
নান্দাইল থানার এসআই মুরাদ আলী শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রেপ্তার হিরণ মিয়া ওই চার জনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি এই খুনের প্রধান আসামি লাল মিয়ার ভাই কাজল মিয়ার ছেলে।”
পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ৩ জুলাই শুক্রবার রাতে বাঁশাটি গ্রামের বেলাল হোসেন (৫০) ও তার তিন ছেলে ফরিদ (২৫), হিমেল (১৪) ও পাভেলকে (১০) কুপিয়ে হত্যা করে বেলালের ভাই লাল মিয়া ও তার ছেলেসহ কয়েকজন।
নিহত বেলালের ছেলে রুবেল মিয়া বাদী হয়ে লাল মিয়া ও কামাল হোসেনসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮/১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর দিন শনিবার খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন রোববার ঘটনাস্থল থেকেই সন্দেহভাজন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকবর ও মৎস্য খামারি হারুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খোকনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।