কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র হেলে পড়েছে বাঁকখালীর দিকে

কক্সবাজার শহরে ফিশারীঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ভবন বাঁকখালী নদীর দিকে হেলে পড়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2015, 06:12 PM
Updated : 6 July 2015, 06:12 PM

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শরীফুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ৮টার দিকে ভবনের নিচের কয়েকটি পিলার পূর্ব দিকে সরে গিয়ে ভবনটি নদীর দিকে হেলে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে এতে কেউ হতাহত না হলেও ভবনটি যে কোনো সময় নদীতে ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শরীফুল বলেন, ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে ভবনটিকে পর্যবেক্ষণে রাখছেন।

একই সঙ্গে বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে তোলা ওই ভবনের পাশ থেকে মাছ ধরার ট্রলার সরিয়ে নেওয়া এবং ভবনের আশপাশে লোকজনকে যাতায়ত না করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার মৎস অবতরণ কেন্দ্রের ভবন বাঁকখালী নদীর দিকে হেলে পড়ার পর ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অবস্থান

বাঁকখালী নদীর দিকে হেলে পড়েছে কক্সবাজার মৎস অবতরণ কেন্দ্র

জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাল (মঙ্গলবার) সকালে ভবনটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাতের মধ্যে এটি ধসে পড়লে করার কিছু নেই।”

১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) কক্সবাজারের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের এই ভবনটি নির্মাণ করে। বাঁকখালী নদীর তীর ঘেঁষে নির্মিত এ ভবনে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরে ফেরত আসা সব ধরণের ট্রলার ভিড়ে মাছ খালাস করে।

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শরীফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১২ সালে বর্ষায় নদীর স্রোতের আঘাতে ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছিল। তখন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ওই ভবনেই সব কার্যক্রম চলে আসছিল।

কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবনটিকে নিরাপদ করা যায় কিনা সেটি বের করার চেষ্টা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভবন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।