রোববার গভীর রাতে বক্তারপুর গোয়ালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ সুমতি রানী দাসকে (৩৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সুমতি বক্তারপুর গ্রামের কমল চন্দ্র দাসের স্ত্রী।
সুমতির বরাত দিয়ে কালীগঞ্জ থানার এএসআই আব্দুল আলীম জানান, আড়াই বছর জর্ডানে থেকে পাঁচ মাস আগে সুমতি দেশে ফেরেন।
এরপর স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং তাকে নিয়ে টঙ্গী এলাকায় থাকেন।
এএসআই আব্দুল আলীম জানান, রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন সুমতি রানী। রাত ২টার দিকে জানালা দিয়ে ‘তার স্বামী’ অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন রাতেই তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ না দেওয়ায় মামলা হয়নি বলে জানান আলীম।
সুমতি জানান, তার স্বামী কমল চন্দ্র দাস দ্বিতীয় বিয়ে করে টঙ্গীতে বসবাস করেন, আর সুমতি থাকেন স্বামীর বাড়ি বক্তারপুরে। সুমতির ঘরে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
সম্প্রতি তার ছোট ছেলের দুর্ঘটনায় হাত ভেঙ্গে গেলে চিকিৎসার খরচ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনোমলিন্য হয়।
পরে এ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তাকে অ্যাসিড মেরে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন কমল।
এ বিষয়ে তিনি কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান।
তার স্বামীই তাকে অ্যাসিড মেরেছে বলে দাবি তার।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মৌসুমী জানান, তার পেট, মুখ ও বুক দগ্ধ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।