সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের চারটি গাড়ি এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা প্রহ্লাদ সিংহ জানান।
অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
প্রহ্লাদ সিংহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বস্তির কোনো ঘরের রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুনে কেউ হারিয়েছেন সারামাস খেটে পাওয়া বেতন। কারো বা এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের টাকা পুড়েছে আগুনে। সেই সঙ্গে পুড়েছে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সব উপকরণ।
বস্তির অন্তত শ’খানেক নিম্ন আয়ের মানুষ আগুনে সর্বস্ব হারিয়ে দিশাহীন হয়ে পড়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত জাহানারা বেগম (৪০) বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এক ঘণ্টার আগুনে তার উপার্জনের মূল উপকরণ সেলাই মেশিনসহ দীর্ঘদিন ধরে জমানো ২০ হাজার টাকা হারিয়ে তিনি নিঃস্ব হয়ে গেছেন।
“আগুন লাগার পর জান নিয়ে ঘর থেকে বের হইয়া আসছি। টাকাগুলা সব চোখের সামনে পুড়ে গেল। ঈদে আর কাউরে কিছু দিতে পারব না। ঘরের সব কিছু পুড়ে গেছে।”
ঋণের কিস্তি কীভাবে শোধ করবেন সেই দুশ্চিন্তায় দিশেহারা লায়লা বলেন, “বাবাগো আমাদের তো গতর ছাড়া আর কিছুই নাই। মেহনত করে জোগানো সব আইজকে শেষ হয়ে গেছে। ঋণের টাকা আমি কেমনে শোধ করমু?”
একটি বেসরকারি ব্যাংকের নিরাপত্তা রক্ষী আকতার হোসেন রোববার বিকালে বেতন পেয়েছিলেন। সোমবার রাতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঈদের কাপড় কিনতে যাওয়ার কথা ছিল তার। আগুনে সেই বেতনের টাকা হারিয়ে ছেলে-মেয়েদের বুকে জড়িয়ে আর্তনাদ করছিলেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত জুলেখা বেগম জানান, চোখের পলকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কোনোমতে প্রাণ নিয়ে ঘরে থেকে বের হতে পেরেছি। সঙ্গে কিছুই নিতে পারেনি। কাপড়-চোপড় আর টাকা-পয়সাও বের করতে পারিনি।