অন অ্যারাইভাল ভিসা সহজে টাস্কফোর্স হবে: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

বিদেশি নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা সেবা সহজ করতে তিন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

নিজস্ব প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2015, 09:00 PM
Updated : 5 July 2015, 09:00 PM

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ নিয়ে এক আলোচনায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে আসা  বিদেশি নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা সেবা সহজ করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।”

“আমরা দিনে দিনে ই-পাসপোর্টের দিকে যাব, আমাদের অতীতের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, কিছু জটিলতাও রয়েছে। টাস্কফোর্স হলে এসব বিষয়ে আমরা কথা বলতে পারবো এবং সে অনুসারে ব্যবস্থা নিতে পারবো।”

মন্ত্রী অন অ্যারাইভাল ভিসা ইস্যুর প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে এনে বলেন, “অনেক বিদেশি বর্তমানে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও থেকে গেছেন। এসব সমস্যা নিয়ে কথা বলে সমাধান করতে হবে।”

এর আগে পর্যটকদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা এবং বাংলাদেশে প্রবেশে ইমিগ্রেশন ও দূতাবাসগুলোর ভূমিকা নিয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ট্যুরস এর স্বত্ত্বাধিকারী মাসুদ হোসেন।

প্রবন্ধে তিনি ভিসা আবেদন করার বিষয়ে দূতাবাসগুলোর ওয়েবসাইটে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন।

“ভিসা গ্রহণ প্রক্রিয়াও অনেক জটিল। বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সেবার জটিলতা এতো বেশি যে কোন পর্যটক একবার এদেশে আসলে দ্বিতীয়বার আর আসতে চান না।”

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদও ভিসা প্রাপ্তির জটিলতার বিষয়গুলো মেনে নেন এবং  টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করার বিষয়ে মত দেন।

ভিসা পলিসিতে ‘ইউনিফর্মিট’র অভাব থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও ।

“ভিসা ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের যেভাবে ট্রিট করছে তার উপর নির্ভর করে সেসব দেশের নাগরিকদের ট্রিট করা উচিত।”

এসময় ভিসা ফি পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে মত দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

পর্যটন বান্ধব ভিসা ব্যবস্থাকে সমর্থন জানালেও নিরাপত্তার বিষয়টির উপরও জোর দেন তিনি।

“২০১৬ সালে আমরা পর্যটন বর্ষ পালন করতে চাই তবে নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কোন ছাড় হবে না।”

বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর নীতিমালা পরিপত্রকে ‘আপ টু ডেট’ করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন মন্ত্রী।

সেমিনারে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

বাংলাদেশকে ‘সিঙ্গেল টুরিজম ডেস্টিনেশন’ করতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতি আলোকপাত করেন পর্যটনমন্ত্রী।

“তবে একই সাথে নিরাপত্তার বিষয়গুলোও চলে আসছে। আইএস নিয়ে বর্তমানে সারা বিশ্ব আতংকে রয়েছে। আমি মনে করি এ বিষয়টিতে কোন পর্যটক যতটুকু না নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারেন তার চেয়ে বেশি হতে পারেন অনাবাসী বাংলাদেশিরা।”

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে পর্যটন সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সানাউল হক উপস্থিত ছিলেন।