রোববার গাইবান্ধা সদর আমলী আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এ এস এম তাসকিনুল হক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ পরোয়ানা তামিলের আদেশ দেন।
গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের অফিস সহকারী কমল চৌধুরী বাদী হয়ে রোববার মামলাটি করেন।
পরোয়ানাভুক্ত হয়েছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি রাজিউর রহমান, সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক আয়েশ উদ্দিন, গাইবান্ধা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই রাকিব হোসেন, এএসআই আইয়ুব হোসেন, ওই ব্যাংক শাখায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম, সাইমুম, শাহিনুর, আব্দুল্লাহ, বাবলু ও আইয়ুব হোসেন।
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এই আদেশ তামিল করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সহকারী পুলিশ সুপারকে (এ সার্কেল) নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী আনিছুর রহমান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২ জুলাই গাইবান্ধা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের অফিস সহকারী কমল চৌধুরী, মামুন মিয়া, রেকর্ড কিপার মোজাম্মেল মিয়া ও ক্যাশিয়ার জুয়েল কবির সোনালী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখায় বেতনের টাকা উত্তোলন করতে যান।
এ সময় চেকের টাকা উঠানো নিয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত উল্লেখিত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আদালতের কর্মচারীদের বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ফাঁসানের হুমকিসহ মামুন ও কমলকে মারধর করে গুরুতর জখম করেন।
এ সময় ব্যবস্থাপকসহ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সহায়তা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।