রোববার ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদরদপ্তরে পিজিআরের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এক অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “আপনারা যাদের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করেন বা করবেন তাদের বেশিরভাগই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই তাদের রাষ্ট্রীয় ও সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও চালাতে হয় এবং নেতাকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হয়।”
“দায়িত্ব পালনের কারণে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যেন নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না পড়েন সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে।”
রাষ্ট্রপতি এসময় পিজিআর সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’ এর প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধাশীল থেকে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
পিজিআরের দায়িত্ব ‘গৌরবময় ও গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ বলেন, “বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনারা সেনাবাহিনী তথা সমগ্র দেশের মর্যাদা সমুন্নত রাখার যে বিরল সুযোগ পাচ্ছেন, তা অব্যাহতভাবে পরম নিষ্ঠায় সম্পন্ন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”
রেজিমেন্টের দায়িত্বের গুরুত্ব ও মর্যাদা বিবেচনা করে এর উন্নয়ন ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন রাষ্ট্রপতি।
অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং পিজিআর সদস্যদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, পিজিআরের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার কর্নেল মো. জাহাঙ্গীর হারুনসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই পিজিআর প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯১ সালে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি সরকার প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বও এই রেজিমেন্টের উপর বর্তায়।