বিএনপি চেয়ারপারসনকে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
রোববার দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ প্রধান বলেন, “পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য কেউ রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে তা দুঃখজনক।”
শনিবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য আয়োজিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন,“পুলিশই আমাদের আন্দোলনের সময় পেট্রোল বোমা মেরেছে। শুধু বোমা নয়, বাসে আগুনও দিয়েছে তারা।”
নাশকতার অভিযোগে পুলিশ যেভাবে মামলা ‘সাজিয়ে দেয়’, বিচারকরা তা ভালোভাবে দেখেন না বলেও মন্তব্য করেন খালেদা।
এর প্রতিবাদ করে শহীদুল হক বলেন, “এ ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা চাইব সমাজে যারা দায়িত্বশীল, তারা দায়িত্বশীল কথা বলুক।”
আগাম নির্বাচনের দাবিতে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে তিন মাসে বিএনপি জোটের টানা হরতাল-অবারোধের মধ্যে নাশকতায় দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়, যাদের অধিকাংশের মৃত্যু ঘটে যানবাহনে ছোড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে।
এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে মামলাও হয়েছে।
শহীদুল হক বলেন, “কারা পেট্রোলবোমা মেরেছে, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তা সূর্যের আলোর মত স্বচ্ছ। কোনো অন্ধকার দিয়ে তা ঢাকা যাবে না।”
নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপের কারণে বিচারবিভাগ আগের চেয়েও ‘নিয়ন্ত্রিত’ বলে যে অভিযোগ খালেদা জিয়া করেছেন তারও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুলিশ বাহিনীর প্রধান।
তিনি বলেন, “তিন মাসের আন্দোলনের সময় জনগণের হাতে প্রেট্রোল বোমা ও নানা নাশকতার সময় যারা ধরা পড়েছিল, তাদের রাজনীতি সবাই জানে। অনেকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।”
পুলিশের অতিরিক্ত মহা-পরিদরর্শকসহ বিভিন্ন মহানগর পুলিশের কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।