দুই দিন আগে বাশাটি গ্রামের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ নিয়ে মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হল। তারা তিনজনই নিহতদের প্রতিবেশী।
নান্দাইল থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদ আলী জানান, রোববার দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল নান্দাইল থেকেই সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আকবর এবং মৎস্য খামারি হারুন।
শনিবার গ্রেপ্তার খোকন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদ আলী জানিয়েছেন।
নিহত চারজনের লাশ কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার রাতে তাদের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শুক্রবার রাতে বাঁশটি গ্রামের বেলাল হোসেনের (৫০) বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে এবং তার তিন ছেলে ফরিদ (২৫), হিমেল (১৪) ও পাভেলকে (১০) কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।
পরদিন সকালে ওই গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে বেলালের ভাই লাল মিয়ার ছেলে জামাল হোসেনের (২২) লাশ পাওয়া যায়।
নান্দাইল থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ জানান, বড় বোন কোহিলা বেগমের কাছে ৪০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিলেন লাল মিয়া। টাকা না দেওয়ায় লাল মিয়া ও তার ছেলেরা কোহিলার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন।
এ খবর শুনে ছোট ভাই বেলাল ও তার ছেলেরা লাল মিয়ার পরিবারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে শুক্রবার রাতে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত বেলালের ছেলে রুবেল মিয়া বাদী হয়ে লাল মিয়া ও কামাল হোসেনসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৮/১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।