‘পদ্মার আগে ঢাকা-যশোর, ঢাকা-কুয়াকাটা ৪ লেন’

২০১৮ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকা থেকে যশোর ও কুয়াকাটা পর‌্যন্ত দুটি চার লেন সড়ক তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2015, 08:42 AM
Updated : 5 July 2015, 08:42 AM

রোববার জাতীয় সংসদে বরিশালের সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতু। ২০১৮ সালে এই সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ঢাকা থেকে যশোর চার লেন সড়ক হবে, ঢাকা থেকে কুয়াটাকা চার লেনও হবে। পায়রাতো আছেই।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে সড়কমন্ত্রী জানান, ভবিষ্যতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে হবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণে চুক্তি করার সময় দুটি চীনা কোম্পানি এ কাজের প্রস্তাব দিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের জানান, শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর‌্যন্ত অ্যালিভেটেড অ্যাক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে প্রথম ধাপের কাজ শুরুর ১২ মাসের মধ্যে ২য় ধাপের জমি হস্তান্তর করতে না পারলে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার বিলম্ব ফি দিতে হয়।

রেলের পতিত জমি ১৩ হাজার একর

রেলওয়ের প্রায় ১৩ হাজার একর জমি অব্যবহৃত এবং সাড়ে ৪ হাজার বাড়ি বেদখলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব তথ্য জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবহৃত ভূমির পরিমাণ ১২ হাজার ৯৬০ দশমিক ৪১ একর। ওই সকল ভূমিতে কিছু কিছু অবৈধ স্থাপনা/অবকাঠামো/দখলদার রয়েছে, যা পর‌্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে রেলওয়ের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে কর্মকাণ্ডে প্রয়োজন হবে না রেলের এমন অব্যবহৃত ভূমিতে পিপিপির আওতায় পাঁচ তারকা হোটেল-কাম বাণিজ্যিক ভবন, মোটেল, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং বহুতল শপিংমল ইত্যাদি নির্মাণ কার‌্যক্রম চলমান রয়েছে।

“ইতোমধ্যে চট্টগ্রামস্থ জাকির হোসেন রোডে পিপিপির আওতায় ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার‌্যালয়ের অধীন ‘ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার দাখিলকৃত সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লা স্টেশনে শপিং কমপ্লেক্স কাম গেস্ট হাউজ নির্মাণে ‘ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার’ নিয়োগের চুক্তি হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেলওয়েতে অনুমোদিত জনবলের সংখ্যা ৪০ হাজার ২৬৪। বর্তমানে কর্মরতদের বেতন খাতে বার্ষিক ব্যয় ৫২৪ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজার টাকা।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত মেয়াদে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ১০৬ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হয়েছে।

অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের বেদখলে থাকা মোট ৪ হাজার ৫৩৮টি বাসা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে।