শনিবার সকালে মহাখালীর হোটেল অবকাশে এভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের কার্যক্রম দ্রুত ও গতিশীল করতে ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
২০১৫-১৬ থেকে শুরু করে তিন অর্থবছরে এ খাতে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, “চলতি অর্থ বছরে পর্যটন মন্ত্রণালয় সবচেয়ে কম বরাদ্দ পেয়েছে। পর্যটন বর্ষ শুরুর জন্য যে অর্থ প্রয়োজন বরাদ্দ তার চেয়েও অনেক কম। তবে এর পরেও আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে চাই। আর এটি করতে বেসরকারি বিনিয়োগই আমাদের ভরসা।”
“পর্যটন খাতে উন্নয়ন না হওয়ার জন্য সরকারের দায় দায়িত্ব বাদ দিচ্ছি না। সে ভাবে অবকাঠামো গত উন্নয়ন প্রয়োজন ছিলো সেটি তৈরি হয়নি।”
পর্যটন বর্ষ পালনের জন্য এ খাতের অংশীজনদের নিয়ে কমিটি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, “ইতিমধ্যে কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে, আগামী ৩০ মাসের মধ্যে এটি তৈরি হয়ে যাবে।”
“প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন এবং রেললাইন সংযোগের বিষয়েও কাজ চলছে। ২০১৬ সালের মধ্যে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল সংযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া চট্রগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হবে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভকে দুই লেনে উন্নীত করা হবে।”
মন্ত্রী বলেন, “শুধু কানেক্টিভিটি করলেই হবে না একই সাথে পর্যটকদের আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। কক্সবাজারে ১২৫ একর জমির উপরে এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোন তৈরি করা হবে। আগামী ৩০ জুলাই এর দরপত্র ডাকা হবে।”
“২০১৬ তেই যে সব উন্নয়ন হয়ে যাবে বিষয়টি এমন নয়, তবে এটুকু বলা যায় যে ২০১৬ থেকে পর্যটনের উন্নয়ন শুরু হবে।”
কক্সবাজার ছাড়াও খুলনার মংলা ও সুন্দরবন এবং পটুয়াখালির কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে ঘিরেও উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানান রাশেদ খান মেনন।
অনুষ্ঠানে পর্যটন নিয়ে কাজ করা ১০ জন সাংবাদিকের হাতে ফেলোশিপ সার্টিফিকেট ও ৬০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পর্যটন সচিব খুরশেদ আলম চৌধুরী, পর্যটন বিষয়ক পাক্ষিক বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহেদুল আলম প্রমুখ।