শনিবার চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে এই রুটে ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ডেমু) ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
ডেমু ট্রেনটি চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় ছেড়ে যাবে এবং বেলা ১টায় নাজিরহাট থেকে ছেড়ে আসবে। পথে ঝাউতলা, ষোলশহর, ক্যান্টনমেন্ট, ফতেয়াবাদ, জোবরা, হাটহাজারী, চারিয়া মাদ্রাসা, সরকারহাট ও কাঠিরহাট স্টেশনে থামবে।
ডেমু ট্রেনটি ছাড়াও একটি ট্রেন সকাল ৮টায় নাজিরহাট থেকে ছেড়ে আসে এবং বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়।
ডেমু ট্রেন উদ্বোধনের পর মুজিবুল হক বলেন, “এখানে আসার পর অনেকে বলল, ট্রেন চালু করছে, আবার কবে বন্ধ হয়ে যায়?
“ফিতা কাটব, পতাকা ঝুলাব- ট্রেন চলবে। আজ শুরু হবে আর বন্ধ হবে না। এ রুটে এই ট্রেন সারাজীবন চলবে। দুর্যোগ-দুর্বিপাক না হলে ট্রেন বন্ধ হবে না।”
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটে একসময় দৈনিক আটটি ট্রেন চলাচল করত। ২০০৬ সালে এ সংখ্যা কমে দুটিতে নেমে আসে।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে এ পথের রেললাইন সংস্কারে ২০৩ কোটি ৪৯ লাখ ৭১ হাজার টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন হয়।
এ প্রকল্পের আওতায় ফতেয়াবাদ থেকে নাজিরহাট অংশে ২২ কিলোমিটার রেল লাইন পুনর্বাসন, ২৫টি সেতু পুনঃনির্মাণ এবং ২২টি সেতু আংশিক পুনঃনির্মাণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী রেলের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বিএনপি এখন ‘দুই ভাগ’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘ভুলের’ কারণে বিএনপি এখন ‘দুই ভাগ’ বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক।
তিনি বলেন, “কী করা দরকার আর, কী করার দরকার নেই তা বিএনপি নেত্রী বোঝেন না। রাজনৈতিক দল হিসেবে কী ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে হবে, তাও তিনি বোঝেন না।
“বেগম খালেদা জিয়ার ভুলের কারণে বিএনপিকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপি এখন দুই ভাগ। একভাগ জামায়াতকে লালন পালন করে। এ ভাগে আছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়া।”
“প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও খালেদা জিয়া ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি রেলের জন্য কিছুই করেননি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখি খালি সমস্যা আর সমস্যা। বিএনপি আমলে ছিল টোটালি জিরো, সেখান থেকেই আমাদের শুরু,” বলেন তিনি।