নীলফামারীতে ছিটবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়

ছিটমহল বাসীদের মতামতের ভিত্তিতে নাগরিকত্বসহ সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রাজনৈতিক) আবু হেনা মোহাম্মদ রহমাতুল মুনিম।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2015, 05:11 PM
Updated : 3 July 2015, 05:13 PM

এ বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার সকালে নীলফামারী ডিমলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতের চারটি ছিটমহল পরিদর্শন শেষে ছিটমহলবাসীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।

এসময় ছিটমহলবাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আর মাত্র কয়েকটা দিন ধৈর্য্য ধরতে হবে একজন নাকরিক হিসেবে আপনাদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার জন্য।”

ছিটমহলবাসীদের জন্য দ্রুত রাস্তা নির্মাণসহ বিদ্যুতায়ন ও জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সুষ্ঠু সমাধানের দাবি উঠলে তিনি বলেন, “এ মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে সকল প্রকার কার্যক্রম শুরু করবে সরকার।”

সে পর্যন্ত সবাইকে আগের মত মিলেমিশে বসবাস করারও অনুরোধ জানান তিনি।

নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মজিবর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলটি নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহল ২৮ নম্বর বড় খানকি বাড়ি, ২৯ নম্বর বড় খানকি খারিজা, ৩০ নম্বর গিদালদহ ও ৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়িসহ চারটি ছিটমহল পরির্দশন করে।

চারটি ছিটমহলে জমির পরিমাণ প্রায় ১৭৫ বিঘা এবং এতে ১০১টি পরিবারের ৪২৪ জন  বসবাস করেন বলেও জানান তিনি।

খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের শহিদ স্মৃতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ চত্তরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিখনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অতিরিক্ত মহাপরিচালক তারেক মো.আরিফুল ইসলামও।

এসময় রংপুর বিভাগী কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (ভুমি) মিনু শীল, নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খান ও গয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ ইবনে ফায়সাল মুন উপস্থিত ছিলেন।