শুক্রবার সকালে পাঁচবিবি পৌর শহরের টিঅ্যান্ডটি পাড়া এলকায় ‘রমিছা ক্লিনিকে’ এ ঘটনা ঘটে।
পাঁচবিবি থানার ওসি ফরিদ হোসেন জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে জাহানারা বেগম (৫০) নামে এক রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই ক্লিনিক ভাঙচুর করে।
জাহানারা পাঁচবিবি পৌর এলাকার মালঞ্চা মহল্লার এলাহী ফকিরের স্ত্রী।
জাহানারার মেয়ে লাকী আক্তার জানান, অ্যাপেনডিক্সের ব্যথার কারণে ২৪ জুন সকালে ‘রমিছা ক্লিনিকে’ ভর্তি হন জাহানারা।
এসময় ওই ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসক মোয়াজ্জেম হোসেন দুই ঘণ্টার মধ্যে জাহানারার অপারেশন করতে হবে বলে জানান।
এরপর ওইদিন মোয়াজ্জেম নিজেই জাহানারার অপারেশন করেন।
অপারেশনের পর থেকে জাহানারার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এখন থেকে বাড়িতে চিকিৎসা করা হবে জানিয়ে ২৭ জুন জাহানারাকে ক্লিনিক থেকে রিলিজ দেওয়া হয়।
এরপর থেকে মোয়াজ্জেম নিজে না গিয়ে কম্পাউন্ডার সাদেকে দিয়ে জাহানারার চিকিৎসা করাতে থাকেন বলে অভিযোগ করেন লাকী।
চিকিৎসা চলাকালীন জাহানারার অবস্থা আরও খারাপ হলে ২৮ জুন জাহানারকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ২৯ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু সেখানেও জাহানারার অবস্থা খারাপ হলে চিকিৎসকরা দুই দিন পর তাকে ফিরিয়ে দেন।
ওসি ফরিদ হোসেন জানান, এ ঘটনার জেরে সকালে স্থানীয় লোকজন ‘রমিছা ক্লিনিকে ডাক্তার ডা. মোয়াজ্জেম হোসেনকে না পেয়ে প্রথমে চেম্বার ও পরে ক্লিনিকের গ্লাস ভাংচুর করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।।