১২ একিউআইএস জঙ্গি রিমান্ডে

আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখার দুই শীর্ষ নেতাসহ ১২ জঙ্গিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।   

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2015, 12:03 PM
Updated : 3 July 2015, 12:03 PM

ঢাকার দারুস সালাম থানার এসআই মো. জালালউদ্দিন ১২ আসামিকে শুক্রবার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মোল্লা সাইফুল ইসলাম তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ১২জনকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ, বিভিন্ন ধরনের ধারালো অস্ত্র এবং উগ্র মতবাদসম্বলিত বিভিন্ন ধরনের বই।

পরে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে রাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রেপ্তার ১২ জঙ্গি এক সময় নিষিদ্ধ সংগঠন হুজিতে সক্রিয় ছিলেন। তারা সবাই আল কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য ঢাকায় জড়ো হাচ্ছিলেন। ঈদের পর রাজধানীতে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

র্যা বের ভাষ্য, গ্রেপ্তার ১২ জনের মধ্যে মাওলানা মাইনুল ইসলাম ওরফে মাহিন ওরফে নানা ওরফে বদিউল (৩৫) একিউআইএস-এর বাংলাদেশ শাখার প্রধান সমন্বয়ক। আর আটক মুফতি জাফর আমিন ওরফে সালমান (৩৪) একিউআইএসের একজন উপদেষ্টা।

বাকিরা হলেন- একিউআইএস বাংলাদেশ শাখার সদস্য মো. সাইদুল ইসলাম ওরফে সাইদ তামিম (২০), মো. মোশাররফ হোসেন (১৯), আব্দুর রহমান বেপারী (২৫), আলামিন ওরফে ইব্রাহিম (২৮), মো. মুজাহিদুল আসলাম ওরফে নকীব ওরফে শরীফ (৩১), আশরাফুল ইসলাম রওফে আবুল হাশেম (২০), রবিউল ইসলাম ওরফে হাসান (২৮) ও মো. জাবিবুল্লাহ (২৬) , মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৯) এবং আলতাফ হোসেন ওরফে আল মামুন (২৬)।

পরে তাদের ঢাকার দারুস সালাম থানায় হস্তান্তর করে  সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার আসামিরা ব্রিটিশ হাই কমিশনারের উপর বোমা হামলার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হুজির শীর্ষ নেতা মওলানা মুফতি মঈনুদ্দীন ওরফে আবু জান্দাল ওরফে মাসুম বিল্লাহকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ড্রেনের রড কেটে মুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন।  এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারের বিভিন্ন স্পর্শকতার স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনাও ছিল তাদের।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই ওয়াহিদুল আলম জানান, রিমান্ড আবেদনের শুনানিতে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।