পুলিশের ধারণা, মো. সোহাগ (১৬) ও মো. নাসিরুল (১৮) নামের ওই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, সোহাগ ও নাসির মৌচাক টাওয়ারের ষষ্ঠ তলার ‘এইচএম টেকনোলজি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। রাতে তারা অফিসে থাকতেন এবং অফিসের মেঝেতে ঘুমাতেন।
শুক্রবার দুপুরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
“প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। একজনের লাশ ছিল জেনারেটর কক্ষে, আরেকজনের মেঝেতে।”
সার্বিক অবস্থা দেখে পুলিশের ধারণা হয়েছে, রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর চালু করতে গিয়ে একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তার দেহ হেলে পাশের থাই অ্যালুমিনিয়ামের দরজায় পড়লে দড়জা বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। আর অন্যপাশে মেঝের ওপর ঘুমন্ত অন্যজনের পা দরজার অ্যালুমিনিয়ামে লাগলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
শুক্রবার দুপুরে রিপন নামে আরেক কর্মচারী অফিসে গিয়ে ভেতর থেকে বন্ধ পান। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে লাশ দেখে তিনি থানায় খবর দেন।
সোহাগের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর আত্রাইলের মির্জাপুরে। নাসিরুলে বাড়ি ঠাকুরগাঁয়ের পীরগঞ্জে।