এ ঘটনায় বুধবার বরখাস্ত হওয়া জিল্লুর রহমান বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর)পদে নিয়োজিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার দুটি চেকের মাধ্যমে তিনি ৫০ লাখ টাকা ফেরত দেন বলে বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “জিল্লুর রহমান উপ-কমিশনার (সদর) শোয়েব আহমেদের কাছে চেকের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন।”
পদোন্নতির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সব পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তাদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপ-কমিশনার (সদর) শোয়েব আহমেদ জানান, ব্রাক ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের দুটি হিসাবে ২৫ লাখ টাকা করে ৫০ লাখ টাকার দুটি চেক জমা করেছেন জিল্লুর রহমান।
এক বছর আগে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও পদোন্নতি হচ্ছিল না এমন ২৩০ পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে টাকা তুলে ৭৭ লাখ টাকার একটি ‘তহবিল’ গঠন করা হয়েছিল বরিশালে।
পুলিশের তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ার পর প্রথমে বরিশাল মহানগর পুলিশের এএসআই, নায়েক, কনস্টেবল ও রেশন স্টোরকিপার পদে থাকা দশজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।পরদিন উপ-কমিশনার জিল্লুরকে বরখাস্ত করা হয়।
শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ, দুর্নীতি ও পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে পুলিশ সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান জানিয়েছেন।