ইসির প্রকল্প বাতিল করল ইউএনডিপি

দাতারা তহবিল প্রত্যাহার করায় মেয়াদ শেষের আট মাস আগেই নির্বাচন কমিশনের একটি প্রকল্প থেকে সরে গেছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 July 2015, 04:04 PM
Updated : 2 July 2015, 04:04 PM

‘বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প এ মাস শেষেই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জাতিসংঘ সংস্থাটি জানিয়েছে।

২০১২ সালের এপ্রিল থেকে প্রকল্পটিতে তহবিল জোগাচ্ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো নিয়ে পশ্চিমাদের ‘অসন্তোষের’ মধ্যেই প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে গেল দেশগুলো।

গত বছরের উপজেলা নির্বাচন এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম এবং তা তদন্তে গড়িমসি নিয়ে এরইমধ্যে কথা বলেছেন এই দেশগুলোর প্রতিনিধিরা।

দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আসা বিএনপি জোট স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিলেও তাতে ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

তবে এসব অভিযোগের কোনোটির তদন্ত করেনি নির্বাচন কমিশন।

ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট গিবসন সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সিটি নির্বাচনে অনিয়মের আভিযোগ তদন্ত না হওয়াকে ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেন।

তবে প্রকল্পে তহবিল বাতিলের চিঠিতে দাতারা নির্বাচন বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি বলে ইউএনডিপির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রকল্পের আওতায় যে সব প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মকাণ্ড ছিল সেগুলো প্রকৃতপক্ষে শেষ হয়ে গেছে।”

অবশ্য ইউরোপের একটি দেশের এক কূটনীতিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রকল্প বাতিলের বিষয়টি ‘প্রতীকী’।

“জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব দল অংশ নেওয়ায় আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছিলাম। কিন্তু তা হয়নি।”

“আমরা ওই সব অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত চেয়েছিলাম, কিন্তু নির্বাচন কমিশন আমাদের কথায় কান দেয়নি। এ পরিস্থিতিতে আমরা মনে করছি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের করার কিছু নেই।”

তবে ওই কূটনীতিক বলেন, আগামী মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও এরইমধ্যে প্রকল্পটির মূল কাজগুলো শেষ হয়ে গেছে।

ইউএনডিপি বলেছে,  “ভোট ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশিক্ষণ এবং ভোটার নিবন্ধকরণ পদ্ধতিসহ আধুনিক ভোট পদ্ধতির প্রবর্তন করে  নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছে এ প্রকল্প।”

বাংলাদেশে ‘গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী’ করতে তারা কাজ চালিয়ে যাবে বলে ইউএনডিপি বলেছে।

১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থায় সহযোগিতা দিয়ে আসছে জাতিসংঘ।