তার ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে দুই মাস আগে এক রিকশাচালক ও অটোরিকশাচালক নিহত হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হওয়ার দাবি করলেও রনি দোষ স্বীকার করে এবারও জবানবন্দি দেননি।
দুই দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার রনিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আমিনুল হকের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস।
তিনি মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমপিপুত্রকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হীরু জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে রনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৩০ জুন রনিকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত। তার আগে দুই দফায় তাকে চার দিন করে আট দিন জিজ্ঞাসাবাদ করলেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আসেনি।
৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম নিহত হন।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ১৫ এপ্রিল রাতে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আসে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ মে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পিনু খানের ছেলে রনি ও তার গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই রাতে ‘মাতাল’ রনি যানজটে আটকা পড়ে গুলি ছুড়েছিলেন বলে তার গাড়িচালক ইমরান এবং ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা রনির বন্ধু কামাল মাহমুদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন।
৪২ বছর বয়সী রনির পিস্তলের গুলিতেই যে ওই জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে, তা পরীক্ষা করে পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে।