এখনও খোঁজ মেলেনি পাইলট তাহমিদের

টানা তিন দিন ধরে উত্তাল সাগরে তল্লাশি চললেও খোঁজ মেলেনি বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর এফ-৭ যুদ্ধবিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রুম্মন তাহমিদ চৌধুরীর।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2015, 07:44 PM
Updated : 1 July 2015, 07:44 PM

বুধবারও তৃতীয় দিনের মতো সাগরের ব্রাভো অ্যাঙ্করেজে অভিযান চালায় বিমান বাহিনী বাহিনী, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড।

বুধবার বিকালে নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দুরুল হুদা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দিনভর তল্লাশি চালিয়েও পাইলট বা বিমানের কোনো অংশের খোঁজ পাইনি।”

 বিমান, নৌ ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা বেলা পৌনে ২টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। তারা বিমানটির পড়ে যাওয়ার স্থানসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনা করে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুসারে অনুসন্ধান চলছে বলে জানান কোস্টগার্ড কর্মকর্তা দুরুল হুদা।

আগের দুই দিনের মত বুধবারও নৌবাহিনীর তিন জাহাজ অতন্দ্র, মধুমতী ও সুরভী উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। সঙ্গে ছিল কোস্টগার্ডের জাহাজ তৌফিক ও তিনটি মেটাল শার্ক বোট এবং বিমান বাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার।

এরমধ্যে নৌবাহিনীর জাহাজ সুরভীতে ‘সাইড স্ক্যান সোনার’ দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে।

বিমান বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারও চলবে। আরও কয়েকদিন আমরা তল্লাশি চালাতে চাই।”

বিধ্বস্ত বিমান উদ্ধারে সাগরে কোস্টগার্ডের জাহাজ।

সোমবার সকালে জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তাহমিদের বিমানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এর আধ ঘণ্টা পর বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত থেকে ছয় মাইল পশ্চিমে সাগরে এফ-৭ যুদ্ধ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

এদিকে নিখোঁজ পাইলট রুম্মন তাহমিদের পরিবারের সদস্যরা দ্বিতীয় দিনের মত বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে তার সন্ধান লাভের আশায় অপেক্ষমান ছিলেন।

তাহমিদের চাচা আনোয়ারুল কাদের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছেন, বিমানের ককপিটটি পাওয়া গেলে তবেই কিছু জানানো যাবে।

“বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে তাহমিদ যদি ককপিট থেকে বের হয়ে থাকে এবং তার গায়ে যদি লাইফ জ্যাকেট থেকে থাকে তাহলে সে সাগরে ভাসমান অবস্থায় বেঁচে থাকতে পারবে। আমরা এখনও আশা করছি, তাহমিদ হয়ত সাগরে ভাসমান অবস্থায় বেঁচে আছে।”

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর এলাকার আবদুল কাদের চৌধুরীর বড় ছেলে রুম্মন তাহমিদ চৌধুরী ২০১০ সালের ডিসেম্বরে বিমান বাহিনীতে যোগ দেন। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তাহমিদ সবার বড়।