তার সঙ্গে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মোখলেছুর রহমান চৌধুরী মাহতাবকেও আগামী ২৭ জুলাই আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
একটি রিট আবেদনে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চ বুধবার রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
তাপস কুমার বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চ্যানেল নাইনের যুক্তরাজ্য শাখায় একটি টক-শোতে মাহতাব চৌধুরী বক্তব্য দেন। আক্রমণাত্মক ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না তা জানাতে রুল দিয়ে আদালত ২৭ জুলাই তাকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে।
“ওই ঘটনায় করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাইবার ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বিচারককে ওইদিন হাজির হতে বলা হয়েছে।”
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস জানান, যুক্তরাজ্যের চ্যানেল নাইনের ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিচারকদের নিয়ে ‘অবমাননাকর’ মন্তব্য করেন মাহতাব চৌধুরী। এ নিয়ে ৯ এপ্রিল আইনজীবী গোলাম রব্বানী কোতয়ালি থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করে।
এই মামলায় মাহতাব চৌধুরী ২৪ মে সাইবার ট্রাইব্যুনালে আত্নসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। তবে শুনানিতে তিনি ও তার আইনজীবী উপস্থিত ছিল না। এ অবস্থায় ট্রাইব্যুনাল তার সব আবেদন অকার্যকর বলে আদেশ দেয়।
সুবীর নন্দী বলেন, এক্ষেত্রে হয় জামিন মঞ্জুর হবে বা না মঞ্জুর হবে, কিন্তু আবেদন অকার্যকর হতে পারে না। তাই এই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২২ জুন রিট আবেদনটি করা হয়।