তিনি বলেছেন, অন্যান্য আন্তঃদেশীয় অপরাধের মতো মানবপাচার কোনো দেশের একার পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার ঢাকায় ‘মানবপাচার প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, “যেসব দেশ থেকে মানুষ নেওয়া হয়, যেসব দেশ দিয়ে নেওয়া হয় এবং যেসব দেশে নেওয়া হয় সবগুলো দেশকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
“আপনারা যা কল্পনা করতে পারেন তার চেয়ে বেশি মানুষের উপর মানবপাচারের প্রভাব পড়ছে,” বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এবং শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি ভারত মহাসাগরে নৌযানে যেসব মানুষকে পাওয়া গেছে তাদের কথা উল্লেখ করেন বার্নিকাট।
‘এ সময়ে তাদের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বার্নিকাট বলেন, “হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি, যারা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নৌযানগুলোতে আটকা পড়েছে তাদের প্রতি যে অপরাধ করা হয়েছে তাতে আমরা সবাই ক্ষুব্ধ।
“ওই সব মানুষ এবং তাদের পরিবারের দুর্দশা ও অসহায়ত্ব আমাদের সবাইকে স্পর্শ করেছে।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “ব্যাপারটি আমার ব্যক্তিগত। আমার প্রমাতামহ (দাদার মা) মানবপাচারের শিকার হয়েছিলেন।”
মানবপাচারবিরোধী লড়াইয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশ সরকাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জোরালো সহযোগিতার জন্যও বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এই জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন তারা।