বুধবার সকালের একটি ফ্লাইটে তাদের ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে বলে ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য ‘জাতিসত্ত্বার কবি’ মুহম্মদ নূরুল হুদা জানিয়েছেন।
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের নেতৃত্বে এই দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন নির্মলেন্দু গুণ, রুবী রহমান, হাবিবুল্লাহ সিরাজী, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কামাল চৌধুরী, রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস, শান্তুনু কায়সার (অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক) ও আসলাম সানী।
এই উৎসব সম্পর্কে জানতে চাইলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের আর্টস সম্পাদক কবি নূরুল হুদা বলেন, “সার্কের নীতিমালার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে দক্ষিণ এশিয়ার বিশাল সৃষ্টিশীল ঐতিহ্য, তার বৈচিত্র্য, ঐক্য এবং বৈশ্বিক ঐতিহ্যের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিভিন্ন সূত্র বিশ্লেষণ করা এবং এই অঞ্চলের সৃষ্টিশীলতা, শান্তির বিকাশ এবং মানবিক সৌন্দর্য ও সম্পর্ক বৃদ্ধিতে এই সম্মেলন সহায়ক হবে।”
বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিনিধি দলের যাবতীয় ব্যয় বহন করবে বলে জানান তিনি।
সরকারি প্রতিনিধি দলের বাইরে ৩০০ ডলার দিয়ে নিবন্ধন করে এই উৎসবে অন্যরা অংশ নিতে পারবেন বলে জানান নূরুল হুদা।
২ জুলাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর চারটি ‘কান্ট্রি প্যানেল’ অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে সবার আগে থাকবে বাংলাদেশ। সেখানে কবি কামাল চৌধুরী, মুহম্মদ নূরুল হুদা, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, শান্তুনু কায়সার অংশ নেবেন।
প্রথম দিন মালদ্বীপের কান্ট্রি প্যানেলে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশের রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস। দ্বিতীয় দিন স্বাধীনতা উত্তর কবিতা নিয়ে প্রবন্ধ পাঠ করবেন কামাল চৌধুরী। কবিতা আবৃত্তি করবেন হাবিবুল্লাহ সিরাজী, সৈয়দ শামসুল হক ও রুবী রহমান।
চতুর্থ দিন ‘বাংলাদেশের নতুন কাব্যকলা’ শিরোনামে প্রবন্ধ পড়বেন একুশে পদক জয়ী কবি নূরুল হুদা। একই সেশনে ‘বাংলাদেশি ইংরেজি কবিতা’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের কান্ট্রি প্যানেল হবে। এর বাইরে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।