মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
অধ্যাপক সাইফুলের বিরুদ্ধে গত বছর বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন।
এরপর তার শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তুললে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জরুরি এক সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক সাইফুলকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়।
তখন তাকে সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।
তবে তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তারা এই শিক্ষকের গ্রেপ্তারও দাবি করছিলেন।
সিন্ডিকেটের মঙ্গলবারের সভায় যৌন হয়রানির অভিযোগে ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. নুরুল ইসলামকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তও হয়েছে।
সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নুরুল ইসলামের বুধবার লিভ প্রিপারেটরি ফর রিটায়ারমেন্টে (এলপিআর) যাওয়ার কথা ছিল।
“কিন্তু তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠায় আগামীকাল থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে তার অবসর পরবর্তী সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে।”
অধ্যাপক নুরুলের কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে এবং তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসতে বলা হয়েছে বলেও সিন্ডিকেট সদস্য মাকসুদ কামাল জানান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আগামী ৩১ অগাস্টের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অধ্যাপক নুরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক নূরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি কিছুই জানি না। তবে আজ বিকালে বিভাগের চেয়ারম্যান আমাকে ফোন করে জানান যে, আমার রুমটি সিলগালা করা হয়েছে।”