কোকেন মামলায় চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার সোহেল রিমান্ডে

চট্টগ্রাম বন্দরে আটক সূর্যমুখী তেলের চালানে কোকেন পাওয়ার ঘটনায় আমদানিকারক খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেলকে পাঁচ দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2015, 12:24 PM
Updated : 30 June 2015, 12:34 PM

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলম জিজ্ঞাসাবাদের এই আবেদন মঞ্জুর করেন বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

জব্দ কন্টেইনাইরে কোকেন পাওয়ার বিষয়টি পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়ার পর গত রোববার বন্দর থানার এসআই ওসমান গণি বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করেন।

মামলায় খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদকেও আসামি করা হয়। খান জাহান আলী লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক সোহেল।

এই কোকেন আটকের ঘটনায় মঙ্গলবার ঢাকায়ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।   

এখন পর্যন্ত নুর মোহাম্মদের হদিস পায়নি পুলিশ। তিনি দাবি করে আসছিলেন, সোহেল তার অজান্তেই বলিভিয়া থেকে সূর্যমুখী তেলের ওই চালান এনেছিল, যাতে কোকেন পাওয়া গেছে।

উরুগুয়ের মন্টিভিডিও থেকে আসা জাহাজে তেলের কন্টেইনারে কোকেন আসছে বলে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে খবর পেয়ে চলতি জুনের প্রথম সপ্তাহে সোহেলকে আটক করে পুলিশ।

৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ডে থাকা কনটেইনারটি সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে কনটেইনারটি আমাদানি হলেও বন্দরে আসার পর কেউ এর মালিকানা দাবি করেনি।

৮ জুন বন্দরে কায়িক পরীক্ষায় ১০৭টি ড্রামের কোনোটিতে কোকেনের অস্তিত্ব না পাওয়ার পরও পুলিশের চাপে নমুনা পাঠানো হয় ঢাকায়।

এরপর গত শনিবার কনটেইনারে থাকা ৯৬ নম্বর ড্রামের তরলের পরীক্ষায় কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা জানায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

কোকেন পাওয়ার পর ওই মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত রোববারই আদালতে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।