মামলার অন্যতম বিবাদী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীর করা সময়ের আবদেনে মঙ্গলবার ঢাকার এক নম্বর অর্থঋণ আদালতের বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস ইস্যু গঠনের জন্য ১৪ জুলাই নতুন দিন ঠিক করে দেন।
এ নিয়ে বিচার্য বিষয় নির্ধারণ দ্বিতীয়বার পেছাল বলে বাদীপক্ষ সোনালী ব্যাংকের আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম জানান।
এ মামলার মূল বিবাদী আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ হিসাবে মা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, মেয়ে জাহিয়া ও জাফিয়া রহমানকে বিবাদী করা হয়।
গত জানুয়ারিতে মৃত্যুর পর কোকোর মরদেহ দেশে এলেও দাফন শেষে মেয়েদের নিয়ে মালয়েশিয়ায় ফিরে যান শর্মিলা রহমান।
মুদ্রাপাচার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কোকো গত ছয় বছরের বেশি সময় ধরে সপরিবারে মালয়েশিয়ায় থাকার সময় সেখানে মারা যান।
ড্যান্ডি ডায়িং মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদের মৃত্যুর পরও তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকেও বিবাদী করেছিল সোনালী ব্যাংক।
৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণ খেলাপের অভিযোগে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম অর্থ ঋণ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, খালেদার ভাই প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার, সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী নাসরিন আহমেদ, তারেকের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, তার স্ত্রী শাহিনা বেগম ও কাজী গালিব অহমেদ।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে তিন কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ড্যান্ডি ডায়িং লিমিটেড।
১৯৯৩ সালের ৫ মে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ নেন বিবাদীরা। এরপর ১৯৯৬ সালে সাঈদ এস্কান্দারের আবেদনে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবার ঋণ মঞ্জুর করে।
২০১০ সালের ৪ এপ্রিল ড্যান্ডি ডায়িংকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, বারবার তাগাদার পরও যা পরিশোধ করেননি বিবাদীরা।
এর আগে ২০০১ সালে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ ঋণের সুদ মওকুফ করেছিল।