তারা সংঘবদ্ধ চুরি ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলেও জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সোমবার সকালে চকবাজার থানার বাদশা মিয়া রোড ও বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বাদশা মিয়া রোড এলাকায় গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর (২২), আল আমীন (২৭), রেজাউল করিম ওরফে রাজন (২৪), মো. লোকমান ওরফে রুম্মান (২৪)। এরা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য বলে দাবি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
কল্পলোক আবাসিক এলাকায় গ্রেপ্তাররা হলেন- আল মামুন ওরফে ফরহাদ (২৯), আবু সায়েদ ওরফে সিদ্দিক (২৫), মো. রুবেল (২২), মো. মাসুদ (২৮), মো. তারেক (২১), মো. রাসেল (২৪) ও মোশারফ হোসেন (২৪)। এরা সবাই সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারা সবাই নগরীর বৌ বাজার ও মাস্টারপুল এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা।
গ্রেপ্তারা ঈদকে সামনে রেখে চুরি করার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।
তাদের কাছ থেকে শাবল, রডসহ চুরি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয় বলেও জানান তিনি।
গ্রেপ্তার সাত জনের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “রাতে তারা দোকানের সামনে ঘুমায় এবং ভোরে দুইজন বেডশিট ভাঁজ করার কৌশলে অন্যরা দোকানের তালা ভেঙ্গে ঢুকে টাকা, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়।”
নগরীতে সক্রিয় এধরনের দুইটি গ্রুপের মধ্যে একটি গত ফেব্রুয়ারি মাসে এবং অন্যটি সোমবার গ্রেপ্তার হয় বলে জানান ওসি মহসিন।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকালে বাদশা মিয়া রোডের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কাছে একদল ছিনতাইকারী অবস্থান করছে এই সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
এসময় তারা দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
গ্রেপ্তারের পর তাদের শরীর তল্লাশি করে দেশীয় একটি দোনলা বন্দুক, এক রাউন্ড কার্তুজ, একটি চাপাতি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।