‘কোর্ট ফি’ যাবে অনলাইনে

অনলাইনে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে কোর্ট ফি জমা দেওয়ার সুযোগ রেখে একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2015, 10:09 AM
Updated : 29 June 2015, 11:05 AM

কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্ট্যাম্প বেচাকেনা করলে শাস্তির মাত্রাও বাড়ছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘দি কোর্ট ফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৫’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।।

তিনি বলেন, “১৮৭০ সালের দি কোর্ট ফিস অ্যাক্ট এটির মূল আইন, তবে তা কয়েকবার সংশোধনও করা হয়েছে। এ আইনে দুটি বিষয় সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

“একটি হলো- কোর্ট ফি পরিশোধের ব্যাপারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার। আরেকটি হলো- বর্তমান মূল্য পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার হার বাড়ানো।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই সংশোধনী কার্যকর হলে জনসাধারণ অনলাইনে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে কোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন।

“এতে কয়েকটি সুবিধা হবে- কোর্ট ফি ছাপানো এবং সংরক্ষণ করা এবং পরিবহনে যে বিশাল ব্যয় হয় তা কমবে। জালিয়াতি রোধ করাও সম্ভব হবে এবং মানুষের ভোগান্তি কমবে।”

তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে বলা আছে কোর্ট ফি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে, যদি না পাওয়া যায় তা নগদে পরিশোধ করতে হবে। আর সংশোধনীতে ‘ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাইজ ট্রান্সজেকশনের’ কথা বলা হয়েছে।

“সরকার কমার্শিয়াল ও শিডিউল ব্যাংক বা মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে বা এজেন্টের মাধ্যমে এ ফি নিতে পারবে এবং এর রিফান্ডের ক্ষেত্রেও ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা থাকবে।”

শাস্তির মাত্রার বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এ আইনের বিধিমালা অমান্য করলে বা অনুমতি ছাড়া স্ট্যাম্প বেচাকেনা করলে শাস্তি রয়েছে ৬ মাস কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা। এই সংশোধন হলে শাস্তি হবে ৬ মাস শাস্তি ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।”