গাজীপুরে লুটের মালামালসহ গ্রেপ্তার ২

গাজীপুরের টঙ্গীর কামারপাড়া এলাকায় একটি প্রাইভেটকার থেকে ডাকাতি হওয়ার ১৩ দিন পর লুটের মালামালসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2015, 10:00 AM
Updated : 29 June 2015, 10:01 AM

সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

আটকরা হলেন- কুমিল্লার লাকসাম থানার ভান্নাঘর এলাকার মানিক হোসেন (২০) এবং তুরাগ থানার কামারপাড়া পাটুনিয়া এলাকার সাগর (২০)।

দু’জনই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে এসপি হুরুন জানান।  

এদেরমধ্যে মানিককে ২৭ জুন বিকেলে তার বোনের বাড়ি কালীগঞ্জের উলুখোলা এলাকা থেকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরেরদিন ব্রাহ্মনবাড়িয়ার কশবা থেকে সাগরকে আটক করা হয়।

“গ্রেপ্তার মানিক কালীগঞ্জ এলাকায় চা বিক্রি করতেন এবং সাগর টঙ্গীর নিশাত নগর এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ডাকাত দলটির আত্মগোপনে থাকা আরেক সদস্য রাসেলের প্ররোচনায় ও অধিক টাকা আয়ের প্রলোভণে পড়ে এ পেশায় নামে তারা। ডাকাতির পর মানিককে পাঁচ হাজার টাকা ও সাগরকে পনের হাজার টাকা বকশিশ দেয় রাসেল” বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

গত ১৬ জুন কামারপাড়ায় ব্রিজের কাছে গরীব এন্ড গরীব কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হকের প্রাইভেটকারে ৯/১০ জন দুর্বৃত্ত ভাঙচুর চালায় এবং নাজমুলের লাইসেন্স করা গুলিভর্তি পিস্তল, ট্যাব, দুই লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে এঘটনায় ওই কারখানা কর্মকর্তা টঙ্গী থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ সুপার হারুন সাংবাদ সম্মেলনে জানান, আটক দুজনের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ও ট্যাব উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য থেকে মৌলভীবাজারের জুরী থানার পাচিরপুর এলাকায় আরেক ডাকাত সদস্য রাসেলের নানার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লুন্ঠিত পিস্তলের ছয়টি গুলি, পিস্তলের কভার, হাত ঘড়ি উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় অভিযুক্ত রাসেলেকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ডাকাতির ঘটনায় পালাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন এসপি।

“অভিযুক্তরা সবাই আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য। তারা প্রায়ই এলাকায় ডাকাতিসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করে আসছে” সাংবাদিকদের বলেন তিনি।