ওই গম আমদানি নিয়ে বিভিন্ন সাংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে রোববার পাভেল মিয়া নামের এক আইনজীবী এই আবেদন করেন, যা সোমবার হাই কোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে।
বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চে মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সানজীদ সিদ্দিকী জানান।
তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে নথি আদালতে না আসায় আজ শুনানি হয়নি।”
‘নিম্নমানের’ গম আমদানি ও সরবরাহ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে হাই কোর্টের কাছে রুল চেয়েছেন আবেদনকারী।
তিনি ওই গম বিএসটিআই ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে পরীক্ষারও নির্দেশনা চেয়েছেন আদালতের কাছে।
পরীক্ষায় গম ‘মানসম্মত নয়’ প্রমাণিত হলে আমদানিতে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না- তা দুদককে দিয়ে তদন্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে জানান সানজীদ সিদ্দিকী।
তিনি জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ পাঁচজনকে এই আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ৪০০ কোটি টাকার দুই লাখ টন ‘নষ্ট ও পচা গম’ নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তর ‘লুকোচুরি করছে’। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।
পুলিশ, বিজিবি, আনসার, জেলখানা, ডিলার ও আটা কল ছাড়াও টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখাসহ (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) বিভিন্ন কর্মসূচিতে ওই গম বিতরণ করা হচ্ছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পচা গম আমদানির অভিযোগ ওঠার পর খাদ্যমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি ওঠে।
এরপর সংসদে এক বিবৃতিতে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “এটা আমরা আর আনব না। এই গম দেখতেই খারাপ লাগছে।”
তবে ওই গম পচা নয় দাবি করে রোববার তিনি সংসদে বলেন, “এ গম সম্পূর্ণ খাবার উপযোগী। খাদ্য অধিদপ্তর ও সায়েন্স ল্যাবরেটরির (বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ) পরীক্ষায় এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। গমের মান নিয়ে আমি স্যাটিসফায়েড।”