এনআইডি নিয়ে দুর্নীতি, চাকরি গেল ২ জনের

জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ‘নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে’ জড়িত থাকায় ভোটার তালিকা প্রকল্পের দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2015, 04:09 AM
Updated : 29 June 2015, 12:58 PM

এরা হলেন- আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস (আইডিয়া) প্রকল্পের সহকারী পরিচালক (মুদ্রণ) মোস্তফা হাসান ইমাম এবং টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মো. মাহমুদ হাসান।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন রোববার জানান, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সেবা দিতে গিয়ে ‘অনৈতিক অর্থনৈতিক লেনদেনের’ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

“বাইরের লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে নিয়ম বহির্ভূত কর্মকাণ্ড করেছে তারা।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সাড়ে ৯ কোটি ভোটারের তথ্যভাণ্ডার শতভাগ নিখুঁত নয়। অনেক নাগরিকের নামের বানান, ঠিকানা, জন্মতারিখসহ বিভিন্ন তথ্যে ত্রুটি রয়ে গেছে।

এ কারণে প্রতিদিনই শত শত নাগরিক আগারগাঁওয়ে প্রকল্প কার্যালয়ে তথ্য সংশোধন করতে আসেন। জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে বা নষ্ট হলেও সেখানে যেতে হয়।  

এই সুযোগে প্রকল্প কার্যালয়ে একটি ‘দালাল চক্র’ গড়ে উঠেছে, যারা কিছু ‘অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর’ সহযোগিতায় এসব সেবার বিপরীতে নিয়ম ভেঙে টাকা আদায় করছেন।

এরকম আরও অন্তত তিন ডজন কর্মকর্তা ইসির নজরদারিতে রয়েছেন বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।

এসব সেবার জন্য নাগরিকদের কোনোভাবে ‘অসদুপায়’ অবলম্বন না করার পরামর্শ দেন সুলতানুজ্জামান।

তিনি বলেন, “দ্রুততম সময়ে সেবা দেওয়ার জন্য অনলাইন-অফলাইন সুযোগ রয়েছে। আমরা তা দিচ্ছি। এ সেবা উপজেলা পর্যায়েও চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর নাগরিকদের বিনামূল্যে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া শুরু হয় পরের বছর থেকে। লেমিনেটেড পরিচয়পত্র দেওয়ার পাশাপাশি সংশোধন, ঠিকানা স্থানান্তরসহ হারালে বা নষ্ট হলে নতুন এনআইডি সরবরাহ করা হয় বিনামূল্যে।

তবে এসব সেবার জন্য ১০০ থেকে এক হাজার টাকা ‘ফি’ নির্ধারণ করেছে ইসি, যা কার্যকর হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। তার আগ পর্যন্ত বিনা খরচেই জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন করা যাবে।

আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান সংক্রান্ত কার্যালয় থেকে সরাসরি এ সেবা দেওয়া হয়। পাশাপাশি উপজেলা-জেলা নির্বাচন অফিসেও এ সেবা নিতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।