ঋণের মাধ্যমে কলেজ শিক্ষার্থীদের ট্যাব দেওয়ার চিন্তা

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর দিনই ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে নতুন ট্যাব দেওয়া যায় কি না- এমন পরিকল্পনার কথা বললেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2015, 09:43 PM
Updated : 28 June 2015, 09:43 PM

রোববার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এতে আউটসোর্সিং করে শিক্ষার্থীরা ব্যাংক ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবে।

ইতোমধ্যে সরকার ২০১৬ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে ট্যাব তুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এছাড়া আগামী বছরের শুরুতেই সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল বই প্রণয়ন করছে সরকার।

স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডায়নামিক ওয়েবসাইট থাকতে হবে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, ওইসব ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য পাওয়া যাবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় সুবিধা হবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডায়নামিক ওয়েবপোর্টাল করতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অগ্রণী এবং ডাচবাংলা বাংকের কর্মকর্তাদের সহায়তা চান শিক্ষাসচিব।

ব্যাংক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা সিএসআর’র মাধ্যমে এই ডায়নামিক ওয়েবপোর্টাল বানিয়ে দিতে পারেন কি না?”

“এজেন্ট ব্যাংকিং হলে সেখান থেকে কিন্তু টাকা বের হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের টিউশন ফিও যেন এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে দিতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থা করতে চাই।”

মোবাইলেই উপবৃত্তির টাকা

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা এখন থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।

রোববার সচিবালয়ে সিলেটের বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন সচিব।

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৪০ শতাংশ ছাত্রী ও ১০ শতাংশ ছাত্রকে উপবৃত্তি দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত ৫১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার উপবৃত্তি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এখন থেকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের কারিগরি সহায়তায় অগ্রণী ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেবে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মাসিক ১৭৫ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীদের ১২৫ টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাবদ অতিরিক্ত ৫০ টাকা দেওয়া হবে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পর বই কেনার জন্য বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ৭০০ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীদের ৬০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফি বাবদ ৯০০ টাকা ও অন্য শাখায় শিক্ষার্থীরা ৬০০ টাকা উপবৃত্তি পাচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের পরিচালক শ্যামা প্রসাদ ব্যাপারী, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল হামিদ, ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।