৪ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এতে স্বাস্থ্য খাতের জন্য ১২ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
রোববার সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এমপিরা অ্যাম্বুলেন্স চায়। আমি প্রস্তুত রেখেছি, টাকার অভাবে আনতে পারছি না।”
তৃণমূল পর্যায়ে চিকিৎসকদের অবস্থান নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “গ্রামে ডাক্তার থাকতে চাইত না। এখন গ্রামে গ্রামে ডাক্তার রয়েছে। গত দুই বছরে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গ্রামে সরকারি হাসপাতালই একমাত্র ভরসা।
“সেখানে ল্যাব এইড নেই, ইউনাইটেড নেই। ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। এই স্বাস্থ্যসেবা চালাচ্ছে সংসদ সদস্যরা।
“দেশের মানুষ মোটা ভাত, মোটা কাপড় পেয়েছে। এখন স্বাস্থ্যসেবা চায়, নিশ্চিত করতে হবে।”
ভবিষ্যতে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভাইস চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার ঘোষণা দেন মোহাম্মদ নাসিম।
প্রত্যেক জেলায় সিসিইউ এবং আইসিইউ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আইসিইউ না থাকায় হিরন (বরিশালের সাবেক মেয়র) মারা গেছে। কোনো হিরন যাতে চিকিৎসার অভাবে মারা না যায়।”
তিনি বলেন, “আমাদের অনেক ডাক্তার দরকার। ১৬ কোটি মানুষের জন্য নার্স ও ডাক্তার কম রয়েছে। আরো ১০ হাজার নার্স নিয়োগ করার প্রক্রিয়া চলছে।”
চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতেও বিএসএমএমইউর মতো বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে জানান তিনি।
“আমাদের সম্পদ কম, তাই সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে কিডনি ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে”, যোগ করেন নাসিম।
সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে জঙ্গি দমন হয়েছে- সেটা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও আমেরিকা বলছে। ‘জঙ্গি দমন শিখতে হলে শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করতে হবে’ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসে বলে গেছেন।”
বিএনপির ৫০ হাজার নেতাকর্মী জেলে রয়েছে বলে খালেদা জিয়ার অভিযোগের জবাবে নাসিম বলেন, “জেলখানার ধারণক্ষমতা ৬০ হাজার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে সকালেই খবর নিয়েছি সারা দেশে কারাগারে ৭০ হাজার বন্দী রয়েছে।
“এর মধ্যে খুনী রয়েছে, চোর, ডাকাত এমনকি ছিচকে চোরও রয়েছে। তাহলে কোথায় বিএনপির ৫০ হাজার নেতাকর্মী?”