রানা প্লাজা: অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি ৮ জুলাই

সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানি হবে আগামী ৮ জুলাই ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2015, 08:13 AM
Updated : 28 June 2015, 12:09 PM

ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহিনুর রহমান রোববার এই দিন ঠিক করে দেন।

এদিন অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। মামলার প্রধান আসামি সোহেল রানাকেও এদিন আদালতে হাজির করা হয়নি।  

আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের  বিভাগের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রানাকে কেন আদালতে আনা হয়নি, সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যাও চেয়েছেন বিচারক।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আট তলা রানা প্লাজা ধসে এক হাজার ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও হাজারখানেক শ্রমিক যারা ওই ভবনের পাঁচটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

ভবন ধসে প্রাণহানির ঘটনায় প্রথমে ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে একটি মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ। সোহেল রানাসহ ২১ জনকে এজাহারে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার বিজয় কৃষ্ণ কর গত ১ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় ৪১ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত মৃত্যু ঘটানোসহ দণ্ডবিধির ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৬৫, ৪৭১, ২১২, ১১৪, ১০৯, ৩৪ ধারায় বিভিন্ন অভিযোগ আনেন তিনি।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে এ মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

ইমারত বিধি না মেনে রানা প্লাজা নির্মাণের অভিযোগে রানাসহ ১৩ আসামির বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা হয়েছিল, যার তদন্তে ভবনের নকশায় ত্রুটি, অনুমোদন না নিয়ে উপরের দিকে সম্প্রসারণ এবং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের তথ্য উঠে আসে।

১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ আইনের ১২ ধারায় দেওয়া এ মামলার অভিযোগপত্রে মোট ১৮ জনকে আসামি করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

দুই মামলা মিলিয়ে মোট ৪২ জন আসামির মধ্যে রানাসহ চারজন বর্তমানে কারাগারে। হত্যা মামলায় ২৫ জন এবং অন্য মামলায় সাতজন পলাতক রয়েছেন; বাকিরা জামিনে। 

হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষে ৫৯৪ জন এবং ইমারত বিধির মামলায় ১৩৫ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এই ৪২ জনের মধ্যে রানা, তার বাবা আবদুল খালেক ওরফে কুলু খালেক ও মা মর্জিনা বেগমসহ ১৭ জন দুই মামলাতেই আসামি।

অভিযোগপত্রে পলাতক ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।